Wikipedia

সার্চ ফলাফল

মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ, ২০২১

মাঙ্গলিক দোষ##

রিমা ছোট থেকেই একটু চুপচাপ, চাপা স্বভাবের। যখন দুই বছর বয়স তখন রিমা মাকে হারায় রিমার সাথে তার পাঁচ বছরের দাদাও হারায় মাকে।ঠাকুমা, পিসি, কাকিমারা মিলে বড়ো করেছে তাঁদের। রিমা গোপনে কাঁদতো মাকে মনে পড়লে। কিছু তো করার নেই মা তো আর আসবে না তাও মন মানত না।কিছু বছর গেল.......
এখন রিমা 16-17বছর বয়স। বাড়ির লোক পাত্র দেখা শুরু করলো, রিমা উচ্চমাধ্যমিক দিয়ে কলেজে পা দিলো, পা দিতেই বিয়ে ঠিক হয়ে গেল
রিমা অতটাও তখন বুদ্ধিমতী মেয়ে ছিল না, নিজের ভালো খারাপটা বুঝতে শেখেনি তাই ভবিষ্যত নিয়ে কিছু ভাবেনি, বাড়ির মতে বিয়ে করলো... বিয়ের আগে রিমাকে শশুড়বাড়ির লোকেরা বলেছিলো পড়াশোনাটা চালিয়ে যেতে পারে। কিন্তু বিয়ের পর দেখে তাঁদের কথাবার্তা সম্পূর্ণ ভিন্ন, তারা বললো বাড়ির বৌ এভাবে বাইরে রোজ কলেজ যাওয়াটা ঠিক মানাবে না। তার স্বামীও প্রতিবাদ করলো না।শাশুড়ি মার আচরণ দিন দিন দম বন্ধের মতো রিমাকে মানসিক অশান্তি দিতে লাগলো, সাপোর্ট বলতে কাউকে পাশে পেলো না, ফামিলি ছিল জয়েন্ট। তাই মায়ের দাদার আগে স্বামী কিছু বলতে পারবে না। একদিন রিমাকে তার বড়ো জা কথায় কথায় বললো তোমার বর রোজ রবিবার যাদের বাড়ি যায় ওই বাড়ির মেয়ের সাথে অনেক বছরের সম্পর্ক ছিল, কিন্তু বিয়েতে আমরা রাজি না হওয়ায় অনেক ঝামেলা হয়, তারপর তোমার সাথে বিয়ে হয়, এই শুনে রিমার মনে ভীষণ ঝড় শুরু হয়,মনে প্রশ্ন আসে তবে কি ওই মেয়ের সাথেই ফোনে গল্প করে আমার আড়ালে। আমি ফোন ধরলে ওই মেয়েটা ঐজন্য মুখের উপর ফোন কেটে দেয়। তবে কি সম্পর্কটা আমার আড়ালে এখনো এগিয়ে যাচ্ছে.....
এরপর রিমা স্বামী এই নিয়ে কথা উঠায়, কিন্তু সে ভীষণ রাগারাগি করে মানতে অস্বীকার, উল্টে রিমাকেই বলে তোমার মনে পাপ আছে। তারপর রিমা কিছুদিন পর বাবার বাড়ি আসে, কিন্তু সেই সেই সমস্যাটার জল ধীরে ধীরে ভয়ানক আকারণ নেয়।রিমার বাড়ির লোকজন এসব কথা জানতে পারে... রিমার বাবা দেরি না করে শশুড়বাড়ির লোকজনদের ডেকে দুই পরিবার নিয়ে একটা আলোচনা করে রিমার বাড়ির লোকজনদের দাবি তুমি বিয়ের আগে যা করেছ সেসব আমরা জানতেও চাই না কিন্তু এখন তুমি আর তাঁদের বাড়ি যেও না মানে ওই মেয়েটির বাড়ি। তখন রিমার বর বলে উঠলো না সেটা সম্ভব নয় তারা আমার অনেক উপকার করেছে বিপদের সময় তাই তাঁদের সাথে সম্পর্ক ভাঙতে পারবো না। এবার রিমার স্পষ্ট বুঝতে পারলো তাঁদের সম্পর্কে তৃতীয় কেউ ঢুকে পড়েছে আর এই সম্পর্ক জোড়া লাগবে না হয়তো।আলোচনার শেষে তারা বাড়ি ফিরে গেল। বেশ কিছু মাস গেল..... রিমা ভেবেছিলো নিশ্চয় বর তাকে একবার ফোন করবে বা নিতে আসবে আর বলবে চলো বাড়ি ফিরে চলো কিন্তু রিমার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল তাকে না ফোন না নিতে এসেছিলো....... আজ অনেক গুলো বছর কেটে গেছে রিমার সেসব কথা আজ গল্পের মতো লাগে।তারপর রিমার জীবনে আগে কি হলো জানতে হলে পার্ট ২ জন্য অপেক্ষা করুন।
কিছু মানুষ হাজার চাইলেও আপন হয় না
কিছু আপন হাজার চাইলেও পর হয় না
কিছু কষ্ট হাজার চাইলেও শেষ হয় না.....